দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকে সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবারের মধ্যে ১১টি আসনের ১৫টি জায়গায় নতুন করে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
কোথাও মারামারি হয়েছে, কোথাও প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে, কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষের সভায় হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের পথসভায় গতকাল পাঁচটি জায়গায় হামলা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর পাঁচ দিনে এ নিয়ে ৩৬টি সংঘাতের ঘটনা ঘটল। আগের মতো নতুন ঘটনায়ও হামলা ও মারধরের শিকার বেশি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা।
এই ঘটনায় নির্বাচনী পরিবেশ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে।
কেন হচ্ছে সংঘাত?
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। ফলে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের সাবেক বা বর্তমান নেতা। তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করেই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা না হলে সংঘাতের ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।’
ইসির আহ্বায়নে গতকাল স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে এক বৈঠক হয়। বৈঠকে ইসি সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানায়।