ঈদের আগে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির। মুরগির দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়েছেন।
গরুর মাংসের দামও চড়া। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
মাছের বাজারে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি চাষের তেলাপিয়া ও পাঙাশ আকারভেদে ২০০-২৫০ টাকা, কই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা আর রুই ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া মাছের দাম অনেক বেশি।
চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনের মতো নিত্যপণ্যগুলোর দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল আছে।
সরকার ১৫ মার্চ মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যগুলো।
ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়ে মাছ ও মাংস বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে মাংসের দাম আবার বাড়ল। বাজার করতে গেলে তাল পাওয়া যায় না।
পেঁয়াজের দাম কমেছে। কেজি প্রতি দাম ৫০ টাকার আশপাশে। অন্যদিকে আলুর দাম বাড়তি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। ভালো মানের আলু কোথাও কোথাও ৫০ টাকা কেজি চাওয়া হয়।
সবজির দাম বেশ কমেছে। ৪০-৬০ টাকা কেজিতেই বেশির ভাগ সবজি কেনা যায় এখন। মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা ও টমেটো ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ সামনে রেখে এবার বাজারে চিনির দামে অস্থিরতা নেই। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকার ওপরে। সেমাইয়ের বাজারও গতবারের মতোই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।