দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার মাঝে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারশিবির ও মিছিলে হামলা, কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
গতকাল শনিবার মাদারীপুরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জে এক কর্মীর বাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৯টি আসনের ১০ জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
নির্বাচনের প্রচার শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ছয় দিনে ৪৬টি জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হলো একজনের।
বরাবরের মতো গতকালও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও নির্বাচনী প্রচারশিবিরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে। শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ। ফলে দেখা যাচ্ছে, সংঘাতে জড়াচ্ছেন মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
নির্বাচনী সংঘাত ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আজকেও (গতকাল) আমরা কিছু কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল পেলে দেখবেন, কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব।’ তিনি বলেন, কোনো না কোনো জায়গায় প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে, এটুকু আভাস তিনি দিয়ে রাখছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ২৬৪টি আসনে। এর মধ্যে শতাধিক আসনে দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। বাকিগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মোটামুটি নির্ভার। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি ও ১৪–দলীয় জোটের শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে।
জাতীয় পার্টি ১৬টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছে। শরিকদের ছেড়ে দেওয়া ৬টি আসনেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। সব জায়গায় শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মূলত আওয়ামী লীগের নেতা।
সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে যেসব আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, সেসব আসনের অনেকগুলোতে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে।