বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় তীব্র শীতকালীন আবহাওয়ার মধ্যেও বায়ুদূষণের ভয়াবহতা অব্যাহত রয়েছে। আজ, ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি, সকাল সোয়া আটটার দিকে, আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬০, যাকে অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর হিসাবে পরিচিত কলকাতার পরে, ঢাকা আজ বিশ্বের বায়ুদূষণের তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে। ভারতের রাজধানী দিল্লি আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুসারে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি। পিএম ২.৫ হল এমন ক্ষুদ্র কণা যা ফুসফুস এবং রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বায়ুদূষণ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি হুমকিস্বরূপ, যার মধ্যে রয়েছে বয়স্করা, শিশুরা, গর্ভবতী মহিলারা এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরা।
ঢাকায় বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে যানবাহন, শিল্প এবং নির্মাণ কাজ। ঢাকায় যানবাহন সংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি বায়ুদূষণের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।
বায়ুদূষণ রোধে সরকার এবং জনসাধারণের উভয়েরই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সরকারের উচিত যানবাহন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা, শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্মাণ কাজের সময় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা। জনসাধারণের উচিত যানবাহন ব্যবহার কমানো, ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা এবং গাছ রোপণ করা।
ঢাকায় বায়ুদূষণের ভয়াবহতা কমাতে সরকার এবং জনসাধারণের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।