আট বছর আগে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকাররা ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি, তবে সিআইডি জানিয়েছে যে তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, সুইফট সিস্টেমের নিরাপত্তাব্যবস্থা রক্ষায় অবহেলা ও গাফিলতির কারণে হ্যাকাররা দেশের রিজার্ভের অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নরসহ ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণ পেয়েছে।
অভিযুক্ত বাকি কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), একজন মহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে ডেপুটি গভর্নর), চারজন যুগ্ম পরিচালক (যাদের মধ্যে দুজন বর্তমানে উপমহাব্যবস্থাপক, একজন যুগ্ম পরিচালক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত), তিনজন উপমহাব্যবস্থাপক (যাদের মধ্যে দুজন বর্তমানে জিএম) এবং দুজন উপপরিচালক।
এই ঘটনাটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল এবং এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি উন্মোচন করে। তদন্তের ফলাফল এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।