বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় তৈরি পোশাক রফতানি হয়। তবে, ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা ব্রান্ডগুলো রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকদের জন্য রাশিয়ায় আরও বেশি পোশাক রফতানির সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর), বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় পশ্চিমা ব্রান্ডগুলোর অবস্থান নিতে পারেন বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকরা।”
রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি আরও বলেন, “দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে রুশ কোম্পানিগুলো কাজ করতে আগ্রহী।”
বাংলাদেশি পোশাক পণ্যের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। ২০২২ সালে, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। রাশিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করা হয়।
ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা ব্রান্ডগুলো রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ায়, রাশিয়ায় তৈরি পোশাকের চাহিদা আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকদের সুযোগ
ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় পশ্চিমা ব্রান্ডগুলোর অবস্থান নিতে পারেন বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকরা।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্য মানসম্মত এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। এছাড়াও, বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকরা দ্রুত ডেলিভারি দিতে পারে।
এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে, বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকরা রাশিয়ায় আরও বেশি পোশাক রফতানি করতে পারবেন।
বাংলাদেশ-রাশিয়া বাণিজ্য সম্প্রসারণ
দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় বিভিন্ন পণ্য রফতানি করা হয়।
বাংলাদেশ-রাশিয়া বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে রুশ কোম্পানিগুলো কাজ করতে আগ্রহী। এটি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।