ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ৮৩টি দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা গতকাল সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এখনো সুরাহা হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার দুই বছর হতে চলল। ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে গতকাল চতুর্থবারের মতো আলোচনা করেছেন ৮৩টি দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা আন্দ্রি ইয়েরমাক ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাসিস বলেন, প্রস্তুতি নেওয়াটাই উদ্দেশ্য, যেন সময় হলেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার মতো প্রস্তুতি থাকে।
তিনি মনে করেন, আলোচনায় রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার পথ খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত কিয়েভ কিংবা মস্কো কেউই এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত নয় বলে উল্লেখ করেন ক্যাসিস।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পাঁচ দিনের বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগে সুইজারল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় দাভোসে বিলাসবহুল স্কি রিসোর্টে বৈঠকটি হয়।
আজ সোমবার জেলেনস্কির সুইজারল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা আছে। তিনি সেখানে অনুষ্ঠেয় বিশ্বের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এক বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংও দাভোস সফর করছেন।
জেলেনস্কির কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, ইউক্রেনের জন্য সর্বাঙ্গীণ, ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলো ঠিক করার জন্য খোলামেলা, গঠনমূলক এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে, তা নিয়ে মতভিন্নতা থাকলেও স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইনে উল্লিখিত বিধি এবং জাতিসংঘের বিধিগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য আছে।
নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গেও ইউক্রেন বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছে বলে জানান ইয়েরমাক।
আর ক্যাসিস মনে করেন, আলোচনায় ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করাটা খুব জরুরি। কারণ, এসব দেশ ব্রিকস জোটের সদস্য। আর এ জোটে রাশিয়াও আছে। এর আগে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের যে তিনটি বৈঠক হয় হয়েছিল: ২০২৩ সালের জুনে কোপেনহেগেন, আগস্টে জেদ্দায় ও অক্টোবরে মাল্টায়।