বাংলাদেশে গ্যাস সরবরাহের চলমান সংকট শিগগিরই কাটবে না বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, গ্যাসের স্বল্পতা দেখা যাচ্ছে, তবে এটা খুবই সাময়িক। প্রচণ্ড শীতেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যায়।
দেশে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে সরবরাহের জন্য দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর একটি পরিচালনা করে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। গত ১ নভেম্বর ভাসমান টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। ৪৫ দিন পর চালুর কথা থাকলেও ইতিমধ্যে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে।
আরেকটি টার্মিনাল পরিচালনা করে দেশীয় কোম্পানি সামিট। তারা বর্তমানে ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করছে। এক্সিলারেট চালুর সঙ্গে সঙ্গে সামিটের টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণে যাবে। তার মানে মার্চের আগে এলএনজি সরবরাহ বাড়বে না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দু-এক দিনের মধ্যে এক্সিলারেট টার্মিনাল চালু হলে দিনে ৮৫ থেকে ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। তবে এটিও চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত হবে না।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গ্যাসের সংকট দীর্ঘমেয়াদী। দেশের গ্যাস মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ও উৎপাদন বাড়াতে না পারলে সংকট আরও প্রকট হবে।