ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ভারত সরকার জানিয়েছে।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ। দেশটি থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি হয়। তবে চলতি বছরে ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে। এছাড়াও, অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পেঁয়াজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার ফলে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির উপর প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশ পেঁয়াজের একটি বড় আমদানিকারক দেশ। প্রতি বছর ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।
পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত
পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও কিছু ক্ষেত্রে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- যেসব পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যেই জাহাজে লোড করা হয়েছে।
- যেসব জাহাজে পেঁয়াজ লোড করার জন্য শিপিং বিল জমা দেওয়া হয়েছে এবং জাহাজগুলো ইতোমধ্যে ভারতীয় বন্দরে পৌঁছেছে।
- যেসব চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং কাস্টমস স্টেশনে নিবন্ধিত হয়েছে।
এই শর্তগুলো পূরণ করে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি প্রয়োজন হবে।