দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করা হচ্ছে। এর আকার কমছে ৫১ হাজার কোটি টাকা। এডিপির আকারও কমছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
বাজেট সংশোধনের কারণ হিসেবে সরকার বলছে, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় কমেছে। ডলারের সংকট রয়েছে। এসব কারণে বাজেট সংশোধন করা ছাড়া উপায় নেই।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সংশোধিত বাজেট বাস্তবসম্মত। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেট যদি আট লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে তা উচ্চাভিলাষী হবে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সফল হলে প্রবৃদ্ধির হার ৬ বা ৭ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব। তবে ডলার সংকট মেটানোর আপাতত কোনো সুযোগ নেই।