আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১৮৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত দেশের ১২টি স্থানে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে ১৮ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দিনে হামলা-সংঘর্ষ, নাশকতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ১৮৪টি মামলা হয় এবং এসব মামলায় ২১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রাজশাহীর বাগমারায় বড় সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহরে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
এছাড়াও, গতকাল রাজশাহী-৬ (গোদাগাড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহির নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পের ব্যানার, ফেস্টুন ও অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল হোসেনের গাড়িবহরে নৌকার প্রার্থী ফাহমি গোলন্দাজের সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহরে থাকা ১০ জন আহত হয়েছেন।
নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। যেখানেই সহিংসতা হচ্ছে, সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়াও, আমরা মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা হলে তা নির্বাচনের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।