ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কেরমানে বুধবার জোড়া বিস্ফোরণে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পর ইরানের সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের কাছে। কাশেম সোলাইমানি ছিলেন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান। ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে কেরমানে অবস্থিত সাহেব আল-জামান মসজিদে। এই বিস্ফোরণে মসজিদে জমায়েত লোকজনের মধ্যে আহত হন অন্তত ১০০ জন।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনাকে “সন্ত্রাসী হামলা” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এর “কড়া জবাব” দেওয়া হবে।
তবে বিস্ফোরণের পর এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাহরাম আয়নোল্লাহি জানান, বিস্ফোরণের পর প্রথমে নিহতের সংখ্যা ১০৩ বলে বলা হয়েছিল। পরে তিনি জানান, কয়েকজনের নাম “ভুলবশত” দুবার লেখা হওয়ায় সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।
ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক সহযোগী মোহাম্মদ জামসিদি এক এক্স বার্তায় লেখেন, “ওয়াশিংটন বলেছে, ইরানের কেরমানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ভূমিকা নেই। সত্যিই তা-ই? যে অপকর্মের জন্য তুমি অন্যকে দোষারোপ করো, সেটা তোমার মাথায় আগে ঘুরপাক খায়।”
মোহাম্মদ জামসিদি আরও লেখেন, “কোনো ভুল নেই। এ হামলার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদি শাসকদের (ইসরায়েল)। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাস একটি হাতিয়ারমাত্র।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিজেদের ও মিত্র ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার কথা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই জড়িত নয়…এই বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে—এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।” ইসরায়েলর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।